ফৌজদারী দন্ডবিধি ১৪৩/৩২৩/৩০৭/৩৭৯/৩৮০/৩০৬(২)/১১৪ ধারায় মামলা।

Post No-065

মোকামঃ বিজ্ঞ আমলী আদালত বরিশাল, বরিশাল

বাদী

বাদীর নাম

বাদীর পিতার নাম

সাং-

থানা-

জেলা-

ঘটনার দিন তারিখ ও সময় ঘটনাস্থলঃ গত ০০/০০/০০০০ ইং রোজ —, সময়- আনুমানিক ০০.০০ঘটিকার সময় বাদীর পিতার বাড়ী ঘটনাস্থল।

আসামী

১। আসামীর নাম (০০)

আসামীর নাম পিতার নাম

২। আসামীর নাম (০০)

আসামীর নাম পিতার নাম

৩। আসামীর নাম (০০)

আসামীর নাম পিতার নাম

সর্ব সাং- 

সর্ব থানা-

জেলা-

স্বাক্ষী

১। সাক্ষীর নাম (০০)

সাক্ষীর নাম পিতার নাম(০০)

২। সাক্ষীর নাম

সাক্ষীর নাম পিতার নাম

৩। সাক্ষীর নাম

সাক্ষীর নাম পিতার নাম

সর্ব সাং-

থানা-

৪। সাক্ষীর নাম

সাক্ষীর নাম পিতার নাম

সাং-

থানা-

জেলা- আরো অনেকে।

মোঃ ১৪৩/৩২৩/৩০৭/৩৭৯/৩৮০/৩০৬(২)/১১৪ দঃ বিঃ

বাদীর অত্র নালিশের বিবরণ এই যে, বাদী একজন সহজ, সরল, নিরীহ, সভ্য প্রকৃতির লোক হইতেছে। অপরদিকে অত্র আসামীগণ অত্যন্ত দুর্দান্ত, দাঙ্গাবাজ, লাঠিয়াল, দস্যু ও চৌর্য্য প্রকৃতির লোক হইতেছে। অত্র বাদী ও আসামীদের মধ্যে জমিজমা লইয়া দীর্ঘ দিনের শত্রæতা ও মনমালিন্যতা বিদ্যামান রহিয়াছে। তপশীল জমাজমি অত্র বাদীর পৈত্রিক ও খরিদা সম্পত্তি হইতেছে। তপশীল জমি অত্র বাদীর নামে গত মাঠ জরিপে আর, এস, রেকর্ড চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত হইয়াছে। তপশীল জমিতে অত্র বাদীর রোপিত ও মুরুব্বিদের রোপিত ও বহু মূল্যমান গাছপালা, মেহগনি, শিরিস, কড়াই, আম-জাম, তালগাছ সহ বিভিন্ন প্রকারের ফলজ ও বনজ বৃক্ষাদি রহিয়াছে। পূর্ব শত্রæতার জের হিসাবে ঘটনার তারিখ ও সময়ে অত্র আসামীগণ হাতে দা, কুড়াল, করাত, লাঠি ইত্যাদি মারাত্বক অস্ত্রাদি সহ অত্র বাদীর স্বত্ত¡ দখলীয় তপশীল জমিতে অনাধিকার প্রবেশ করিয়া জমিতে থাকা গাছপালা কাটিতে শুরু করে। সাক্ষী —— কে খবর দিলে অত্র বাদী দৌড়াইয়া বাধা প্রদান করে। তখন ১নং আসামী হুকুম দেয় যে, শুয়ারের বাচ্চাদের খুন করিয়া ফেল, গাছ-পালা কাটিয়া লইয়া চল। তখন ২/৩নং আসামী বাদীকে হত্যা করিবার জন্য গলা চাপিয়া ধরে। ইহাতে বাদীর জিব্হা বাহির হইয়া মৃত্যু হইবার উপক্রম হয়। তখন অন্যান্য আসামীগণ চড়, কিল, ঘুষি মারে। বাদী চিৎকার দিলে তখন বাদীর চাচা —— বাধা দিতে গেলে আসামীগণ অত্র বাদীর ভ্রাতা সাক্ষী ——কে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি মারপিঠ করে। তখন ৩নং আসামী বাদীর  পাঞ্জাবীর পকেটে থাকা গরু বিক্রি করা নগদ ০,০০০/- (কথায়) টাকা লইয়া যায়। তখন ২নং আসামী অত্র বাদীর ভ্রাতা সাক্ষী —–র তলপেটে লাথি দেয়। ইহাতে দম বন্ধ হইয়া মৃত্যুর উপক্রম হয়। তখন সকল আসামী বাদীর ভ্রাতা —–র বাড়ীতে একযোগে অনাধিকার প্রবেশ করিয়া বাদীর ভ্রাতা ——র উত্তর পোতার বসত ঘরের মালামাল ভাংগিয়া প্রায় ০০,০০০/- (কথায়) টাকা ক্ষতি সাধণ করে। ঘরে বিছানার তলে থাকা নগদ ০০,০০০/- (কথায়) টাকা ১নং আসামী চুরি করিয়া লয়। যে টাকা দিয়া — জমি কেনার জন্য ঘরে রাখিয়া  ছিলেন। তখন বাদীর ভ্রাতা —-র স্ত্রী —–  ঠেকাতে গেলে ২/৩নং আসামী —–র পড়নের কাপড় চপড় টানিয়া খুলিয়া শ্লিলতা হানী ঘটায় এবং অন্যান্য সকল আসামীগণ এলোপাতাড়ী মারপিঠ করে। তখন ১নং আসামী বাদীর ভ্রাতার স্ত্রী —-র গলায় থাকা ০ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ০০,০০০/- (কথায়) টাকা ছিনাইয়া লয়। তখন সকল আসামী বাদীর তপশীল জমি জায়গা হইতে যে গাছ কটিয়া লয় মেহগনি গাছ ০টি ০০,০০০/- (কথায়) টাকা, সিরিস ০টা ০০,০০০/- (কথায়) টাকা, এবং অন্যান্য গাছপালা কাটিয়া লয় মূল্য ০০,০০০০/- (কথায়) টাকার ক্ষতি সাধন করে। বাদী ও বাদীর ভ্রাতা ইদ্রিসের ডাক চিৎকারে সাক্ষীগণ দৌড়াইয়া আসিয়া ঘটনা দেখে ও শোনে। সাক্ষীরা ঘটনা জানে। তাছাড়া সাক্ষ্য দ্বারা আদালতে প্রমান করিবে। বাদী, বাদীর ভ্রাতা, স্থানীয় ভাবে ডাক্তার দেখাইয়া চিকিৎসা হয়েন। আসামীগণ চলিয়া যাওয়ার সময় হুশিয়ারী উচ্চারণ করিয়া যায় যে, মামলা করিতে গেলে একদম খুন করিয়া ফেলিবে বলিয়া ভয়ভীতি দেখায়। স্থানীয় ভাবে আপোষের কথা বলায় আসামীগণ আপোষ না করায় মামলা করিতে একটু বিলম্ব হইল। অত্র সার্টিফিকেটের কাগজ সংযুক্ত করা হইল। প্রকাশ থাকে যে, অত্র বাদী ইতি পূর্বে তপশীল জমি লইয়া এমপি ০০০/০০ নং মামলা, ধারা ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৪৪ ধারা রুজু করিয়াছে। আসামীরা নোটিশ প্রাপ্ত হইয়া আদালতের আদেশ অমান্য করিয়া উক্ত ঘটনা ঘটিয়াছে।

এমতে প্রার্থনা হুজুরাদালত দয়া প্রকাশে বাদীর অত্র মামলা গ্রহন করতঃ আসামীদের বিরুদ্ধে W/A প্রদানে মামলার সু-বিচার করিতে মর্জি হয়।

তপশীল

অত্র রবিশাল জেলাধীন রবিশাল থানার অর্ন্তগত, ঝামা, রামনগর মৌজার এস এ দাগ নং- ০০০০, হাল খং নং- ০০০/০ , হাল দাগ নং- ০০০০, জমির পরিমাণ-  ০০ শতক। হাল খং নং-০০০০, হাল দাগ নং- ০০০, জমির পরিমান- ০০ শতক। মোট জমির পরিমান- ০ শতক নালিশী।