অংশ নামা দলিল। বন্টন নামা দলিল । অংশ নামা দলিলের নমুনা। Law Academy BD ।

osgsho-nama

Post No-74

বিসমিল্লাহির রাহ্‌মানির রাহিম

অংশনামা বা বন্টননামা দলিল

ক্রমিক নং …………………. বহি নং ………………….. দলিল নং  ………………

১। রেজিষ্ট্রী অফিসের নামঃ

২। দলিলের সারসংক্ষেপঃ

১ম পক্ষের প্রাপ্ত সম্পত্তির মূল্য মং – ৪,০০,০০০

প্রাপ্ত সম্পত্তির পরিমাণ ঃ ১২ শতাংশ

মৌজা- নরোত্তমপুর, থানা – দাগনভূঁইয়া, জিলা – ফেনী

————————————————————

২য় পক্ষের প্রাপ্ত সম্পত্তির মূল্য মং – ৪,০০,০০০।

প্রাপ্ত সম্পত্তির পরিমাণ: ১৫ শতাংশ

মোঃ ইকবাল হোসেন, পিতা – আহামদ আলী, মাতা- আম্বিয়া খাতুন, গ্রাম – নরোত্তমপুর, পোঃ- নরোত্তমপুর, থানা- দাগনভূঁইয়া, জিলা- ফেনী, জাতে- মুসলমান, পেশা- কৃষি, জাতীয়তা- বাংলাদেশী।

এওয়াজ নামা প্রথম পক্ষ

আব্দুল কালাম , পিতা – মৃত মফিজুর রহমান, মাতা- আম্বিয়া খাতুন, গ্রাম – নরোত্তমপুর, পোঃ- নরোত্তমপুর, থানা- দাগনভূঁইয়া, জিলা- ফেনী, জাতে- মুসলমান, পেশা- কৃষি, জাতীয়তা- বাংলাদেশী।

এওয়াজ নামা দ্বিতীয় পক্ষ

পরম করুনাময় আল্লাহ তা’আলার নাম স্মরন করিয়া অত্র এওয়াজ নামা দলিল আরম্ভ করিতেছি যে, অপরাপর ভূমিসহ বর্ণিত “খ” তপশীলের নাম জমি আর.এস. জরিপের রেকর্ডীয় মালিক মোঃ ইমাম আলীর লোকান্তরে তদ কন্যা শরিক জান হইতে বিগত ২৫/০৪/১৯৬৭ ইংরেজী তারিখের রেজিষ্ট্রীকৃত ২১৯৭ নং ছাফ কবলা দলিল মুলে ১৫ শতক ভূমি নরোত্তমপুর মৌজার, আবদুল হাকিম নামীয় ব্যক্তি খরিদ করেন। আবদুল হাকিম তাহার খরিদ সূত্রে অপরাপর ভূমি সহ বর্ণিত তপশীলের ভূমি বর্তমান বাংলাদেশ জরিপে তাহার নামে চুড়ান্ত প্রচার ক্রমে ভোগ দখলে থাকাবস্থায় তাহার টাকার আবশ্যক হওয়ায় বিগত ০৯/০৪/১৯৮২ ইংরেজী তারিখের দাগনভূঁইয়া সাব রেজিষ্ট্রী অফিসে রেজিস্ট্রীকৃত ৫৫২৪ নং কবলা মূলে নোয়াদ্দা নিবাসী আবদুর রহমানের পুত্র আবদুল মুনাফ নামীয় ব্যক্তির নিকট ছাফ বিক্রী করিয়া উক্ত সম্পত্তি হইতে চিরতরে নিঃস্বত্ববান ও দখলচ্যুত হন। উক্ত আবদুল মুনাফ খরিদ সূত্রে দখলে থাকাবস্থায় তাহার টাকার বিশেষ প্রয়োজনে অপরাপর ভূমি সহ বর্ণিত “খ” তপশীলের ভূমি বিগত ০৪/১০/১৯৯৪ ইংরেজী তারিখের রেজিষ্ট্রীকৃত ২৭৫৪ নং ছাফ কবলা দলিল মূলে আমি অত্র এওয়াজ নামার প্রথম পক্ষের নিকট বিক্রি করিয়া নিঃস্বত্ত্ববান হওয়ায় আমি তাহা ৭৪৮/১২ নং নামজারী জমাভাগ মোকদ্দমা মূলে ৭৫৪৯ নং নামজারী জমাভাগ খতিয়ান সৃজন ক্রমে নিম্ন “খ” তপশীলে বর্ণিত ভূমিতে মালিক দখলকরার হিসাবে সকলের জ্ঞাতসারে এযাবৎকাল ভোগ দখলে স্থিত আছি।

নিম্ন “ক” তপশীলের ভূমি বিগত ১১/০৫/১৯৬০ ইং তারিখের রেজিষ্ট্রীকৃত ২১৪০ নং ছাফ কবলা দলিল মূলে নরোত্তমপুর নিবাসী বশির উদ্দিন এর খরিদা ও মৌরশী ভূমি হয়। বশির উদ্দিন তাহাতে ভোগ দখলে থাকাবস্থায় ৩ পুত্র এবং ৪ কন্যা যথাক্রমে- ১) আবদুল্যাহ আল আমিন, ২) আবুল বশর, ৩) আবুল হোসেন এবং কন্যা আয়েশা আক্তার, ২ ) জুলেখা আক্তার ৩) রেহেনা বেগম ৪) রৌশন আক্তার কে ওয়ারিশ রাখিয়া পরলোক গমন করিলে তৎ ত্যাজ্য বিত্ত্বে প্রত্যেক পুত্র  অংশ এবং প্রত্যেক কন্যা  অংশ হারে পিতা হইতে প্রাপ্ত হইয়া তাহা ভ্রাতা ভগ্নিগণের মধ্যে বিগত ২০/০৯/২০০৮ ইংরেজী তারিখের রেজিষ্ট্রীকৃত ১২২৫ নং অংশনামা দলিল মূলে

বিভাগ ক্রমে প্রাপ্তীয় ঐ অংশ “ক” তপশীলের প্রাপ্তীয় স্বত্বাধিকারী হইতে বিগত ২৮/০৯/২০০৮ ইংরেজী তারিখের রেজিষ্ট্রীকৃত ২২২৮ নং কবলা মূলে খরিদা সূত্রে অত্র এওয়াজ নামা দলিলের “ক” তপশীলের ভূমি আমি দ্বিতীয় পক্ষ মৌরশী সূত্রে প্রাপ্ত হইয়া নিজ নামে নামজারী, জমাভাগ খতিয়ান সৃজনে সকলের জ্ঞাতসারে এ যাবৎকাল মালিকানা প্রচারে ভোগ দখলে স্থিত আছি

এমতাবস্থায় ১ম পক্ষের স্বত্ব দখলীয় “খ” চিহ্নিত তপশীলের সম্পত্তি হয় পক্ষের ভোগ দখলের এবং ২য় পক্ষের স্বত্ত্ব দখলীয় “ক” চিহ্নিত তপশীলের সম্পত্তি ১ম পক্ষের ভোগ দখলে অধিক সুবিধাজনক বিধায় পক্ষদ্বয় ভবিষ্যতে স-ব ভোগ দখলের সুবিধাে পরস্পর একমত হইয়া ১ম পক্ষের মালিকানাধীন “খ” চিহ্নিত তপশীলের সম্পত্তি হয় পক্ষের বরাবরে এবং ২য় পক্ষে মালিকাধীন “ক” চিহ্নিত তপশীলের সম্পত্তি ১ম পক্ষের বরাবরে এওয়াজ বদল বা বিনিময় করিবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়া অদ্য তারিখে উপস্থিত সাক্ষীগণের সাক্ষাতে ১ম পক্ষের মালিকানাধীন “খ” চিহ্নিত তপশীলের সম্পত্তি ২য় পক্ষের বরাবরে এবং হয় পক্ষের মালিকাধীন “ক” চিহ্নিত তপশীলের সম্পত্তি ১ম পক্ষের বরাবরে এওয়াজ বদল করতঃ স্ব-স্ব এওয়াজকৃত সম্পত্তি এক পক্ষ অপর পক্ষের বরাবরে দখল বুঝাইয়া দিলাম। অদ্য তারিখ হইতে পক্ষদ্বয় স্ব-স্ব এওয়াজ প্রাপ্ত সম্পত্তি সংক্রান্তে সরকারি সেরেস্তায় পৃথক ভাবে নামজারী জমাভাগ ক্রমে নিজেদের নামে নামজারী জমাভাগ খতিয়ান সৃজনে সন সন খাজনাদি আদায়ে এওয়াজ মূলে প্রাপ্ত সম্পত্তি পুত্র পোত্রাদি ও পরবর্তী স্থলাভিষিক্তগণ ক্রমে পরম সুখে ভোগ দখল, বিক্রয়, বন্ধক, দান, হেবা, হস্তান্তর ইত্যাদি। করিতে সক্ষম থাকিবে। এক পক্ষের এওয়াজ মূলে প্রাপ্ত সম্পত্তির ভোগ দখলে অপর পক্ষ বা পক্ষগণের অলি ওয়ারিশান কোন প্রকার বাধা বিঘ্ন সৃষ্টি করিতে পারিবে না। করিলে কিংবা কাহারও দ্বারা করাইলে তাহা সর্বাদালতে, সর্বমহলে, সর্বোতোভাবে আইনতঃ অগ্রাহ্য হইবে। এখানে উল্লেখ্য যে, এক পক্ষের এওয়াজ মূলে প্রাপ্ত সম্পত্তি সংক্রান্তে অপর পক্ষের ইতিপূর্বে যদি কোন প্রকার বিনাম, হস্তান্তর বা অন্য কোন কার্য্য কলাপের দ্বারা স্বত্ব দখলের কোন প্রকার বিঘ্ন সৃষ্টি হইলে উক্তরূপ যেকোন প্রকারের বিনাম, হস্তান্তর বাতিল বলিয়া গণ্য হইবে ও তজ্জন্য সংশ্লিষ্ট পক্ষ আইনতঃ দায়ী হইবে এবং প্রবঞ্চনার দায়ে দোষী সাব্যস্থ হইয়া আইনতঃ শাস্তিভোগ সহ উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানে বাধ্য থাকিবেন। অত্র এ ওয়াজনামা দলিলের ১ম পক্ষের এওয়াজ প্রাপ্ত সম্পত্তির সংখ্যা মং-৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ) টাকা ও ২য় পক্ষের এওয়াজ প্রাপ্ত সম্পত্তির সংখ্যা মং-৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ) টাকা নির্ধারণ করা হইল। সরকারী নিয়মানুযায়ী এক পক্ষের উপর যথাযথ ষ্ট্যাম্প, উৎস কর ও সরকারী ফিঃ প্রদান করা হইল।

এই করারে উভয় পক্ষদ্বয় স্ব-ইচ্ছায়, সুস্থ মস্তিকে, কাহারো বিনা প্ররোচনায় ও বিনা জরবে অত্র দলিল পাঠে ও পাঠ করাইয়া এবং উহার মর্ম সম্যক অবগত হইয়া অত্র এওয়াজ নামা দলিল আমরা উভয় পক্ষ ও স্বয়ং স্ব স্ব সহি দ্বারা সম্পাদন করিয়া দিলাম। ইত সনঃ- ১৩/০২/১৯৮২ইং মোতাবেক……..

“ক” তপশীল ভুক্ত দ্বিতীয় পক্ষের মালিকী সম্পত্তি এওয়াজ মূলে প্রথম পক্ষ প্রাপ্ত হইল।

 জিলা – ফেনী, থানা – দাগনভূঁইয়া, মৌজা – নরোত্তমপুর, দাগনভূঁইয়া সাব রেজিষ্ট্রী অফিসের এলাকাধীন মহাল মালিক গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার পক্ষে সহকারী কমিশনার (ভূমি), সদর, ফেনী অধীনে আমি দ্বিতীয় পক্ষ উল্লেখিত খরিদা রায়তী স্বত্ত্বীয় খাস দখলীয় আর, এস, জরিপের ৩১৮৪ নং খতিয়ানের আর, এস, ৩৪৬২ (তিন হাজার চারশত বাষট্টি) দাগের আন্দর তৎ সামিল বি, এস, জরিপের ২৪৮৫ নং খতিয়ানের বি, এস. ২৪৮৫/৫ নং ২৪৮৫/৬, ২৪৮৫/৭ নং নামজারী খতিয়ানের বি, এস, ১৭৮০ (সতের শত আশি) দাগের আন্দর সংযুক্ত নকশায় প্রদর্শিত “গ” চিহ্নিত ব্লকের ১২ শতাংশ (বার শতাংশ) ভূমি যাহার উত্তর দক্ষিণে দৈর্ঘ্য ৮৫ ও পূর্ব পশ্চিমের প্রস্থ ৬১-৬ ভূমি এওয়াজ নামা মূলে প্রথম পক্ষ আফজাল হোসেন প্রাপ্ত হইল ।

তপশীল প্রথম প্রক্ষের মালিকী সম্পত্তি এওয়াজ মূলে দ্বিতীয় পক্ষ প্রাপ্ত হইল।

জিলা-ফেনী, থানা-দাগনভূঁইয়া মৌজা নরোত্তমপুর, দাগনভূঁইয়া সাব-রেজিষ্ট্রী অফিসের এলাকাধীন মহাল মালিক গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার পক্ষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সদর-ফেনী অধীনে আমি প্রথম পক্ষ উল্লেখিত খরিদা রায়তী স্বত্ত্বীয় খাস দখলীয় আর, এস, জরিপের ৩৪৫৮ নং খতিয়ানের আর, এস, ৫৬৭৮ (পাচ হাজর ছয়শত আটাত্তর) দাগের আন্দর তৎ সামিল বি, এস, জরিপের ২৬৪৮ নং খতিয়ানের বি, এস, ৭৫৫৬ নং নামজারী, জমাভাগ খতিয়ানের বি, এস, ৭৮৮৫ (সাত হাজার আটশত পঁচাশি) দাগের আন্দর সংযুক্ত নকশায় প্রদর্শিত “ঘ” চিহ্নিত ব্লকের ভূমির পরিমাপে ১৫ (পনের) শতাংশ ভূমি যাহা উত্তর-দক্ষিণে দৈর্ঘ্য ৮৭-১১ মূলে দ্বিতীয় পক্ষ আব্দুল কালাম  প্রাপ্ত হইল ।

সংযুক্তি :- অত্র দলিলে বিক্রয় মূল্যের উপর ৩% হারে ট্রাম্প বাবদ মং -১২,০০০/- টাকার মধ্যে ১০০/- টাকার নন জুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে দলিল প্রস্তুত করিয়া অবশিষ্ট মং- ১১,৯০০/- টাকা দাগনভূঞা সোনালী ব্যাংকে পে-অর্ডার নং- POA তারিখ- ৩০/১০/২০১১ ইং মূলে এবং ২% হারে উৎসকর বাবদ মং- ৮,০০০/- টাকা একই ব্যাংকের একই শাখার পে-অর্ডার নং- POA- তারিখ – ৩০/১০/২০১১ ইং মূলে এবং ২% হারে স্থানীয়সরকার কর বাবদ মং-৮,০০০/- টাকা একই ব্যাংকের একই শাখার পে-অর্ডার নং- POA তারিখ-৩০/১০/২০১১ ইং মূলে এবং ২% হারে এ-ফি, ই-ফি, এন-ফি, মোট ৮,৩৫০/- টাকা একই ব্যাংকর একই শাখার পে-অর্ডার নং POA তারিখ-৩০/১০/২০১১ ইং মূলে প্রদান পূর্বক, পে-অর্ডার সমূহের মূল কপি এতদসংগে সংযুক্ত করা হইল ।

আমরা উভয় পক্ষ অত্র এওয়াজ নামা দলিল পাঠ করিয়া উহার মর্ম অবগত হইয়া কাহারো বিনা প্ররোচনায় নিজ নিজ নাম স্বাক্ষর করিলাম।

– ইতি- সন

মুসাবিদাকারক

স্বাক্ষীগণের স্বাক্ষর

Unique Flag Counter