দন্ডবিধি আইনের ৪২০/৫০৬(৷৷) ধারায় মামলার ড্রাফটিং।

মাননীয়,

      সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্টেট ও ফেনী সদর আমলী আদালত, ফেনী

      জেলা- ফেনী।

সূত্রঃ সি আর      /২০২৪ইং

রাশেদা আক্তার (  ), স্বামীঃ মোঃ আবুল হাসেম, সাং- তারাকুচা, ডাকঘর- তারাকুচা, থানা- পরশুরাম, জেলা- ফেনী।

………….বাদীনি

বনাম

জোৎস আরা বেগম (   ), স্বামীঃ মৃত আবদুল হক (ছুট্টি মিয়া), সাং- তারাকুচা, ডাকঘর- তারাকুচা, থানা- পরশুরাম, জেলা- ফেনী।

……………আসামী

সাক্ষীগণ

১) বাদীনি নিজ।

২)

৩)

                                                                 ………সাক্ষীগ্ণ

১ম ঘটনার সময় ও স্থান

১৭/১২/২০১৩ ইং, রোজ …………………………সকাল ৯.০০ ঘটিকা

দলিল লেখকের অফিস, পরশুরাম কেন্দ্রিয় অফিস।

                                                                চলমান পাতা-০২

পাতা -০২

২য় ঘটনার সময় ও স্থান

২৮/০৮/২০২৩ ইং,রোজ সোমবার,বিকাল ৪ ঘটিকা

আসামীর বাড়ির আঙ্গিনায়

ধারাঃ দন্ডবিধি আইনের ৪২০/৫০৬(৷৷) ধারা ।

নিবেদন এই যে,

অত্র মামলার বাদিনী একজন সহজ, সরল,নিরীহ ও আইনমান্যকারী গৃহবধূ হয়। পক্ষান্তরে আসামী শঠ,প্রতারক ও পরধনলোভী প্রকৃতির মহিলা হয়। বাদিনী ও আসামী উভয়েই  ফেনী জেলার তারাকুচা গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। আসামী ও বাদিনী একই গ্রামের বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে তারা উভয়েই পূর্ব পরিচিত। প্রতারক জাকিয়া বেগম তাহার দেনা পরিশোধের নিমিত্তে নগদ টাকার অত্যাবশ্যক হওয়ায় সেচ্চায় তার মৃত স্বামী হইতে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত বলিয়া ফেনী জেলার সি/এস ৩১৬ নং এবং বি/এস ১৩২ নং তারাকুচা, সাবেক পেটি খতিয়ান ৫৫৯ নং এর সাবেক ৫৩০ দাগ এর ৫৩ শতাংশ আন্দরে ও সাবেক ৫০৯ দাগের ১ শতাংশ মোট ৫৪ শতাংশ আন্দরে তাহা দিয়ারা ৬১০ দাগ আন্দরে চিহ্নিত দখল মতে বি/এস ২১৫ দাগ বাড়ী বর্তমানে ডোবা মৌয়াজি ৫৩ শতাংশ আন্দরে ১২ শতাংশ আন্দরে পশ্চিম দক্ষিণাংশে রাস্তার পাশে মৌয়াজি ২ শতাংশ বিক্রয় করিতে চাহিলে বাদিনী উক্ত জায়গা ক্রয় করিতে ইচ্ছাপোষণ করেন। পরবর্তীতে বিগত ১৭/১২/২০১৩ ইং তারিখে পরশুরাম সাব-রেজিষ্ট্রি দলিল লেখকের অফিসে স্বাক্ষীগনের উপস্থিতিতে আসামী জাকিয়া বেগম বাদীনি ছেমনা আক্তার কে উক্ত তফসিল ২ শতাংশ জায়গা ১,৬০,০০০ (এক লক্ষ ষাট হাজার) টাকা মূল্যের বিনিময়ে দখলস্বত্ব বিক্রয় করিয়া টাকা বুঝিয়া লইয়া অরেজিষ্ট্রিকৃত দলিল সম্পাদন করে এবং দুই মাসের মধ্যে সরজমিনে জায়গা রেজিষ্ট্রিসহ বুঝাইয়া দেয়ার অঙ্গীকার প্রদান করিয়া থাকেন। কিন্তু শঠ, প্রতারক আসামী প্রতারনামূলভাবে রেজিষ্ট্রি করিয়া না দিয়া নিজের কাছেই স্বত্ব রাখিয়া দেয়।  আসামী বাদীনিকে  বিক্রয়কৃত সম্পত্তি রেজিষ্ট্রি করিয়া বুঝাইয়া দিতে গড়িমসি করিতে থাকে। বাদীনি আসামিকে বারবার তাগাদা দিতে থাকিলেও আসামী কোন প্রকার রেসপন্স করেনি বরং বাদীনি বিগত ২৮/০৮/২০২৩

                                                                    চলমান পাতা

 পাতা -০৩

ইং তারিখে আসামীর বাড়ীতে গিয়া তাকে তাহার ক্রয়কৃত জমি রেজিষ্ট্রি বুঝাইয়া দেয়ার জন্য বারবার বলিতে থাকিলে আসামী এক পর্যায়ে উত্তেজিত হইয়া বাদীনিকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করিতে থাকে এবং বলিতে থাকে “রেজিষ্ট্রি দিবনা, কি করিতে পারিস কর” বাদীনি আসামীর উপস্থিতিতে ঐ বাড়ীর মুরব্বিদেরকে ডাকিতে যাইতে চাহিলে আসামি একটুকরা কাঠ দিয়ে বাদীনিকে মারিতে উদ্যত হয় এবং শাসাইয়া বলে “ এখান থেকে চলিয়া যা, এই বিষয় নিয়া বেশী বাড়াবাড়ী করিলে থানা- পুলিশ, কোর্ট-কাচাড়ি করিলে জানে মারিয়া গুম করিয়া ফেলিব। এমতাবস্থায় বাদীনি আতংকিত ও শংকাগ্রস্থ হইয়া পড়িয়াছে। সাক্ষীগন ঘটনা জানে ও সাক্ষ্য দিয়া ঘটনা প্রমান করিবে। অত্র আবেদন এর সমর্থনে অন্যান্য বক্তব্য শুনানি কালে বাচনিক নিবেদিত হইবে। ন্যায়-বিচারের স্বার্থে আসামীর বিরুদ্ধে বিজ্ঞাদালতে উপযুক্ত আদেশ আবশ্যক।

অতএব, বিনীত প্রার্থনা এই যে ন্যায় বিচারের স্বার্থে সার্বিক দিক বিবেচনা করিয়া বাদীনির অত্র দাখিলীয় নিবেদন গ্রহণ পূর্বক আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা মঞ্জুর করিতে বিজ্ঞাদালতের মর্জি হয়।

                           ইতি তাং