দেওয়ানী মোকদ্দমায় প্রতিপক্ষ পক্ষে লিখিত আপত্তি। Law Academy BD।

দেওয়ানী-মোকদ্দমায়-প্রতিপক্ষ-পক্ষে-লিখিত-আপত্তি।-Law-Academy-BD।

মাননীয়,

      ফেনী সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালত,ফেনী

      জেলা-ফেনী।

বিবিধ  মামলা নং –    /২০২৩ ইং

১(ক) আবদুল খালেক গং             বনাম             মাসুক চৌধুরী গং

                  প্রার্থী                                         প্রতিপক্ষ

                        প্রতিপক্ষ পক্ষে লিখিত আপত্তি

১। প্রার্থীর প্রার্থনা দেঃ কাঃ ৯ অর্ডারের ৪ রুলের বিধানমতে অচল হেতু প্রার্থীদের প্রার্থনা অগ্রাহ্য হইবে।

২। প্রার্থীদের প্রার্থনা গুরুতর তামাদিতে বারিত বটে।

৩। প্রার্থীদের প্রার্থনার উল্লেখিত যাবতীয় উক্তি মিথ্যা ও বানোয়াটী বটে।

৪। প্রার্থীদের মূল দেং ২০/০৪ইং মামলায় বিগত ২০/৫/২০১৫ইং খারিজ হওয়ার তারিখে প্রতিপক্ষগন হাজিরা দিয়াছে। প্রতিপক্ষ পক্ষে ঐ মূল মামলায় হাজিরা দাখিল করা স্বত্তে ও অর্ডারের সীটে ভূলে তাহা উলে­খ করা হয় নাই।

৫। প্রকৃত কথা এই; বাদী/ প্রার্থী পক্ষে মূল দেং ২০/০৪ইং মামলায় প্রার্থীপক্ষ বিবাদী/প্রতিপক্ষদের উপর যথারীতি সমন ও রেজিষ্ট্রিকার্ড জারী না করাইয়া মিথ্যা রির্টান আদালতে দাখিল করাইয়া আদালতের উপর Fruad Practice করিয়া বিগত ২৮/৮/০৪ইং তারিখে একতরফা রায় ও বিগত ১/৯/২০০৪ইং তারিখে ডিক্রি হাসিল করিয়া নিয়াছে। বিবাদী/প্রতিপক্ষগন মধ্যে ১/২/৬/৮-১৮নং বিবাদীগন ঢাকায় স্বপরিবারে বসবাস করে ও করিত। ৩নং বিবাদী বগুড়ায় শহরে বহুবছর পূর্ব থেকে বাসাবাড়ী তৈরী করিয়া বসবাস করে। ১৮নং বিবাদী খগড়াছড়ি থাকে। ২০নং বিবাদী রাজনৈতিক কারণে এলাকায় থাকিত না। ৬নং বিবাদী যখন গ্রামের বাড়ী আসে তখন লোক পরস্পর তর্কিত একতরফা ডিক্রীর বিষয় জানিয়া ঐ একতরফা ডিক্রীর সহিমোহর নকল নিয়া অত্র আদালতে দেং ৩২/০৫ইং ডিক্রী রদ ও রহিতের জন্য প্রার্থীপক্ষ বিরুদ্ধে মামলা আনয়ন করে। বিবাদী/প্রতিপক্ষ মামলায় বর্ণনা দিয়া প্রতিযোগীতা করা অবস্থায় ৭নং বিবাদী/প্রতিপক্ষ মধ্যপ্রাচ্য হইতে দেশে আসিয়া ঐ একতরফা ডিক্রী সর্ম্পকে জানিয়া ডিক্রীর সহিমোহর নকল নিয়া বিবিধ ৩০/০৭ইং প্রার্থী স্বরুপে দায়ের করে। উক্ত দেং ৩২/০৫ইং মামলা ও বিবিধ ৩০/০৭ইং উভয় মামলা পাশাপাশি একই ধার্য্য তারিখে রাখিয়া দোতরফা  বিচারে দেং ৩২/০৫ইং মামলায় বিগত ১৯/৭/২০১৫ইং তারিখের রায় ও বিগত ২৫/৭/০৫ইং তারিখের ডিক্রী মূলে দেং ২০/০৪ইং মামলার একতরফা রায় ডিক্রী বাতিল হয়। অনুরুপ ভাবে ঐ বিবিধ ৩০/০৭ইং মামলায় ও দোতরফা বিচারে বিগত ১৯/৭/২০১২ইং তারিখে দেং ২০/০৪ইং মামলার একতরফা ডিক্রী রদ ও রহিত হইয়া যায়। তৎপর বর্তমান প্রার্থীপক্ষ দেং ৩২/০৫ইং মামলার রায় ডিক্রীর অসম্মতিতে মাননীয় ফেনীর জিলা জজ আদালতে সিভিল রিভিশন নং ২২/১৩ইং আনয়ন করেন। ঐ সিভিল রিভিশন মামলা পরবর্তীতে অতিরিক্ত জেলা জজের আদালতে ট্রান্সপার হইয়া শুনানী হয়ে বিগত ২৮/৩/১৬ইং তারিখে এ Remand প্রেরণ করেন। বিবিধ ৩০/০৭ইং মামলার আদেশের অসম্মতিতে বর্তমান প্রার্থীপক্ষ মাননীয় ফেনীর জিলা জজ আদালতে মিস আপীল ১৬/১২ইং আনয়ন করিলে তাহা বিগত ১৫/১১/১২ইং তারিখে ঐ আপীল ডিসমিস হয়। বর্তমান প্রার্থীপক্ষ আর ঐ মিস আপীলের ডিসমিস আদেশের অসম্মতিতে মহামান্য সূপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে কোন রিভিশন মামলা করে নাই। উক্ত দেং ৩২/০৫ইং মামলাটি অত্রাদালতে Remand এ আসিলে বর্তমান বিবিধ মামলার বিবাদী/প্রতিপক্ষ তাহা পরিচালনা আবশ্যকতা নাই বিধায় প্রত্যাহার চাহিয়া বিগত ৮/১১/২০১৭ইং তারিখে দরখাস্ত দিয়া দেং ৩২/০৫ইং মামলার ২নং পক্ষভূক্ত বাদী প্রত্যাহারের দরখাস্তের বিষয়ে জবানবন্দি দেন এবং বিভিন্ন অজুহাতে ঐ দেং ৩২/০৫ইং মামলা বর্তমান প্রার্থীপক্ষ ঘুরাইয়া পরে বিগত ২৪/২/২০১৯ইং তারিখে প্রত্যাহারের আদেশ দেন।

৬। দেং ২০/০৪ইং মামলাটি বিবিধ ৩০/৭ইং মামলার ও পরে বিবিধ আপীল ১৬/১৩ইং মামলার পোষকে Restore হইলে বাদী/প্রার্থী পক্ষের নিয়োজিত আইনজীবি জনাব শহীদ উল্যাহ মিন্টু সাহেব ও আরো অপর নিয়োজিত ছিল কেহই অর্ডার সীট Seen ইচ্ছা করিয়া করে নাই। তদাবস্থায় বাদী হাজিরা না দেওয়ায় বর্তমান বিবাদী/প্রতিপক্ষ হাজিরা দিয়া আসিতে থাকায় বহু তারিখ গেলে ও বাদী/প্রার্থীপক্ষ হাজির না থাকায় দেং ২০/০৪ইং মামলাটি বিগত ২০/৫/১৫ইং তারিখে আদালত খারিজ করিয়া দিয়া দেন। ঐ খারিজ আদেশে রদ ও রহিতের জন্য ১৩৬২ দিন তামাদী যুক্ত হওয়ায় তামাদী আইনের ৫ ধারামতে যে দরখাস্ত দিয়াছে তাহাতে প্রত্যেকটি দিন সম্পর্কে কেন তামাদী তা বলতে হবে তবে না বলাতে ঐ দরখাস্তের পোষকে তামাদী মওকুফ করে অত্র বিবিধ ২/১৯ইং মামলা অত্র আদালত Admit করিয়াছেন। বাদী/প্রার্থীদের অত্র ছানী ২/১৯ইং মামলা আদৌ চলিতে ও রক্ষা পাইতে পারে না। কেননা শুধুমাত্র বিবাদী/প্রতিপক্ষগনকে হয়রানী ও খরচান্তর করার জন্য তাহারা অত্র ছানী মামলা আনয়ন করিয়াছে। অত্র ছানীর ৬-১০নং প্রতিপক্ষের পিতার নাম আজমত উল্যাহ চৌধুরী নহে। তথাপিও তাহাদের পিতার নাম আজমত উল্যাহ চৌধুরী লিখাইয়া রাখিয়াছে। আজমত উল্যাহ চৌধুরী ১৯৬৩ সালে ১নং প্রতিপক্ষের পিতা সলিম উল্যাহ চৌধুরী, ৩নং প্রতিপক্ষ সাহাব উল্যাহ চৌধুরী, বোরহান উল্যাহ চৌধুরী, আহছান উল্যাহ চৌধুরী, এবাদত উল্যাহ চৌধুরীকে ৫ পুত্র রেখে মারা গিয়াছে। সলিম উল্যাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে ১নং প্রতিপক্ষসহ ৩ ছেলে এবং সুলতানা রহমান (রুহী) নামে এক কন্যা রেখে যায়। ১নং প্রতিপক্ষের ভ্রাতা মুরাদ চৌধুরী ও মামুন চৌধুরী ও মারা গিয়াছে। বোরহান উল্যাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে শেখ আবু খালেদ চৌধুরী, ফারুক নুর চৌধুরী ও শেখ আবু হাসান চৌধুরীকে ৩ পুত্র এবং খোদেজা আক্তার নেলী গংকে ৪ কন্যা ও স্ত্রী রেখে যান। আহছান উল্যাহ চৌধুরী মৃত্যুতে নওসাদ কে ছেলে এবং শারমিন গংকে ২ কন্যা ও ১ স্ত্রী রেখে যায়। দেং মূল ২০/০৪ইং মামলায় ফারুক নুর চৌধুরী সহ কয়েক বিবাদী বর্ণনা দাখিল করিয়াছে। প্রার্থী মামলা আইনের বর্হিভূত হওয়ায় অচল বটে।

৭। উপরোক্ত অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে প্রার্থীগনের মামলা ময়খরচ ডিসমিস হইবে।           

                                                     সত্যপাঠ

অত্র বর্ণনার লিখিত যাবতীয় বিবরণ আমার জ্ঞান ও বিশ্বাসমতে সত্য। অত্র সত্যতায় শুদ্ধ স্বীকারে নিম্মে আমার নিজ নাম স্বাক্ষর করিলাম। ইতি তাং-

PDF link : Download

Unique Flag Counter