সংশোধিত ২০১৮ সালের যৌতুক নিরোধ আইনের ০৯ ধারা ।

Post No. 29

মোকামঃ বিজ্ঞ আমলী আদালত বরিশাল, বরিশাল

বাদী

বাদীর নাম বাদীর নাম পিতার নাম সাং- থানা- জেলা-

ঘটনার দিন তারিখ ও সময় ঘটনাস্থলঃ গত ০০/০০/০০০০ ইং রোজ —, সময়- আনুমানিক ০০.০০ঘটিকার সময় বাদীর পিতার বাড়ী ঘটনাস্থল।

আসামী

১। আসামীর নাম (০০) পিতার নাম

২। আসামীর নাম (০০) পিতার নাম

৩। আসামীর নাম (০০) পিতার নাম

সর্ব সাং- সর্ব থানা- জেলা-

সাক্ষী

১। সাক্ষীর নাম পিতার নাম ২। সাক্ষীর নাম পিতার নাম ৩। সাক্ষীর নাম পিতার নাম সর্ব সাং- থানা- ৪। সাক্ষীর নাম পিতার নাম সাং- থানা- জেলা- আরো অনেকে।

মোঃ সংশোধিত ২০১৮ সালের যৌতুক নিরোধ আইনের ০৯ ধারা

বাদীর অত্র নালিশের বিবরণ এই যে, বাদী একজন সহজ- সরল, নিরীহ, সভ্য প্রকৃতির ভদ্র মহিলা লোক হইতেছে। অপরদিকে অত্র আসমীগণ অত্যন্ত দুর্দান্ত, লোভী, নারী নির্যাতনকারী ব্যাক্তি হইতেছে। বিগত ০০/০০/০০০০ ইং তারিখে ১নং আসামীর সহিত অত্র বাদীর সহিত ইসলামিক শরাশরীয়ত ও কালেমা পাঠের মাধ্যমে বিবাহ হয় এবং পরবর্তীকালে গত ০০/০০/০০০০ ইং তারিখে উক্ত বিবাহ রেজিষ্ট্রি করা হয়।  ১নং আসামী বাদীর স্বামী ২নং আসামী শ্বাশুড়ী নং ৯নং আসামী ১নং আসামীর চাচা হইতেছে। ১নং আসামী বিবাহের সময় চাঁপ প্রয়োগ করিয়া বিবাহের খরচ বাবদ ০০,০০০/- (কথায়) টাকা আদায় করিয়া লয়েন। বিবাহের সময় অত্র বাদীকে অত্র বাদীর পিতার নিকট হইতে গলার সোনার গহনা পত্র, লেপতোষক, কাথা, বালিশ, আসবাব পত্রাদি ও বিভিন্ন প্রকারে ক্রোকারিজ সামগ্রী থালা প্লেট, জগ,গ্লাস ইত্যাদি দিয়া দেন। বিবাহের পর অত্র বাদী ও ১নং আসামী স্বামী স্ত্রী হিসাবে ঘর-সংসার করিতে থাকে। বিবাহের কিছুদিন পর হইতে ০১/২/৩ নং আসামী ০০০০০/- (কথায়) টাকা যৌতুকের জন্য প্রায়ই নির্যাতন করে। মারপিঠ করে। ইহাতে অত্র বাদী রাজী না হওয়ায় বাদীকে ভাত না খাওইয়া রাখে। বাদীকে ঘরের মধ্যে গলায় দড়ি দিয়া হত্যা করিতে চায়। অত্র ১নং আসামীর ঔরষে বাদীর গর্ভে ১টি পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহন করে। তাঁর নাম শিমুল। বাদীর পুত্র অসুস্থ্য হওয়ায় তাহাকে ১নং আসামী ভাল চিকিৎসা না করায় বাদীর পুত্রটি অকালে মৃত্যুবরণ করে। তাহার পর ইহাতে অত্র আসামীগণ বাদীর প্রতি নিমর্ম, নিষ্ঠুর, আচরন ও অত্যাচারের মাত্রা বাড়াইয়া দেয়। ঘটনার আনুমানিক ০০ মাস পূর্বে অত্র ১/২/৯ নং আসামী পরস্পর পরিকল্পনা করিয়া ০০,০০০/- (কথায়) টাকা যৌতুকের দাবীতে অত্র বাদীকে তাহার পিত্রালয়ে তাড়াইয়া দেয়। অত্র বাদী পিত্রালয়ে আসিয়া আশ্রয় লয়। অত্র বাদী দীর্ঘদিন তাহার পিত্রালয়ে থাকার কারনে বাদীর পিতা আসামীদের সংবাদ দিলে ঘটনার দিন তারিখ ও সময়ে অত্র ১/২/৯ নং আসামীগণ বাদীর পিতার বাড়ীতে আসেন। অত্র বাদীর পিতা বাদীর কন্যাকে লইয়া ঘর সংসার করিবার জন্য প্রস্তাব করিলে তখন ১/২/৯নং আসামীগণ ০০,০০০/- (কথায়) টাকা যৌতুক দাবী করেন এবং ১নং আসামী যৌতুকের টাকা না লইয়া বাড়ীতে যাইবে না বলিয়া সাফ জানাইয়া দেয়। অত্র বাদীর পিতা যৌতুক দিতে অস্বীকার করে। তখন  ১/২/৯নং আসামীগণ একযোগে বলেন যে, ০০০০০/- (কথায়) টাকা যৌতুক ব্যতিত অত্র বাদীকে লইয়া ১নং আসামী ঘর-সংসার করিবে না। বাদীকে স্ত্রীর মর্যাদা প্রদান করিবে না। বাদীকে আর স্ত্রী হিসাবে ঘরে তুলিয়া লইবে না মর্মে স্বাক্ষীদের মোকাবেলায় জানাইয়া দেয়। অত্র বাদীর পিতা শত অনুরোধ করিলেও ১নং আসামী বাদীর পক্ষের কোন অনুরোধ উপরোধ গ্রহন করেন নাই। বাদীর পিতার দেওয়া সোনা গহনাপত্র বিক্রি করিয়া টাকা অপথে কুপথে খরচ করিয়া ফেলিয়াছে। অত্র ১নং আসামীর স্বভাব চরিত্র ভাল নয়। স্বাক্ষীগণ ঘটনা জ্ঞাত রহিয়াছে। তাহারা স্বাক্ষ্য দ্বারা আদালতে প্রমান করিবে। অত্রসাত কাবিননামার ফটোকপি সংযুক্ত করা হইল। আসামীগণ আপোষের কথা বলায় পরবর্তীকালে আপোষ না করায় মামলা করিতে বিলম্ব হইল। 

এমতে প্রার্থনা হুজুরাদালত দয়া প্রকাশে অত্র মামলা গ্রহন করতঃ আসামীদের বিরুদ্ধে W/A প্রদানে মামলার সু-বিচার করিতে মর্জি হয়।

 ইতি তাং-


©All copyright reserved by 7 minutes Bangla .

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *