ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১০৭/১১৭(গ) ধারায় অভিযোগ । Law Academy BD ।

Post No-66

মোকামঃ বরিশাল বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, বরিশাল

    ১ম পক্ষ

জামাল উদ্দিন শিকদার

পিং- মৃত জামাল উদ্দিন শিকদার

সাং-

থানা-

জেলা-

ঘটনাঃ

গত ইং ০০/০০/২২

রোজ- শুক্রবার

সময়ঃ অনুমান ০.০০ ঘটিকা।

২য় পক্ষ

১। জামাল উদ্দিন শিকদার

পিং- মৃত জামাল উদ্দিন শিকদার

সাং-

থানা-

জেলা-

সহ আরো ৭/৮ জন

নিজস্ব লোক।

     সাক্ষী

১। জামাল উদ্দিন শিকদার

পিং- মৃত জামাল উদ্দিন শিকদার

সাং

২। জামাল উদ্দিন শিকদার

পিং- মৃত জামাল উদ্দিন শিকদার

সাং-

৩। জামাল উদ্দিন শিকদার

পিং- মৃত

সাং-

সর্ব থানা-

জেলা- ।


অভিযোগ ফৈঃ কাঃ বিঃ আইনের ১০৭/১১৭(গ) ধারা

১ম পক্ষের নিবেদন এই,
১। ১ম পক্ষ একজন নিরিহ সহজ সরল পেশাদার ব্যবসায়ী হইতেছেন। তিনি এলাকায় একজন সৎ ব্যক্তি হিসাবে পরিচিত। পক্ষান্তরে, ২য় পক্ষগণ দুর্দান্ত দাঙ্গাবাজ, হারামাইদ, জনবলে বলীয়ান ও আইন অমান্যকারী লোক হইতেছে বটে।
২। ২য় পক্ষ বহু দিন যাবত ১ম পক্ষের সহিত নানাভাবে শত্রæতা পোষণ করিয়া আসিতেছে। গত কিছুদিন পুর্বে উভয় পক্ষের মধ্যে ফৌজদারী মামলা চলিয়া আসিতেছে। ২য় পক্ষগণ এখনও নানাভাবে পায়তারা করিতেছে এবং পরস্পর লোকজনের কাছে বলাবলি করিতেছে যে, তাহারা তাহাদেও নিজ ঘরে আগুন দিয়া মিথ্যা ঘর পোড়ানোর মামলা করিবে। বা তাহাদের কাউকে অন্যত্র লুকাইয়া মিথ্যা অপহরণ বা আটক মামলা করিবে। গত প্রায় দুই বৎসর পূর্বে ২য় পক্ষ ১ম পক্ষের বিরুদ্ধে ঘর পুড়ার একটা মিথ্যা মামলা করিয়াছিল। যাহা ডিসমিস হইয়াছিল।
৩। ১ম পক্ষ এলাকার জনৈক জামাল উদ্দিন শিকদার ও জামাল উদ্দিন শিকদারের নিকট থেকে চুরাপাড়া মৌজার ০০০০ দাগের ০০ শতক জমি রেজিঃ কবলা দলিল মুলে খরিদ করিয়া নালিশী জমির দখল প্রাপ্ত হয়েন। হাল জরিপ রেকর্ড কালে ঐ খরিদ কৃত জমির মধ্যে থেকে কিছু জমি পূর্ববর্তী মালিকদের চারজনের নামে নামে রেকর্ড হয় । ১ম পক্ষ নালিশি জমিতে গত দুই বৎসর ধান চাষ করিয়া থাকে। আমি একটা চাকরী করার কারণে গ্রামের বাইরে থাকার কারণে জমিজমার দেখবাল করিতে পারি নাই। ২য় পক্ষ এলাকায় সন্ত্রাসী ও সমাজ বিরোধী লোক হইতেছে। ১ম পক্ষের সহিত জমাজমি নিয়া ও সামাজিক মনোমালিন্য বিদ্যমান আছে। সে কারণে ঘটনার দিন ইং ০০-০-২২ তারিখ সকাল অনুমান ০ ঘটিকার সময় ১ম পক্ষ বাড়ি থেকে বাহির হইয়া বাড়ির পাশের জমি দেখিতে গেলে ২য় পক্ষ তাহার সহিত ৭/৮ জন তাদের নিজস্ব লোকসহ হাতে দা, লাঠি, লোহার রড ইত্যাদি মারাত্মক অস্ত্রে সজ্জিত হইয়া ১ম পক্ষকে খুন করার জন্য আক্রমণ করে। এবং প্রকাশ করে যে জমি জমি দখল করার সাধ মিটিয়ে দিবে। এ সময় ১ম পক্ষ শোর চিৎকার দিয়া দৌড়াইয়া নিজ বাড়িতে ঢুকিয়া জীবন রক্ষা করে । সাক্ষীরা ঘটনা স্থলে এলে ২য় পক্ষরা ফিরিয়া যায়। যাবার কালে প্রকাশ করে যে ১ম পক্ষকে হাটে, মাঠে, ঘাঠে যেখানে পাবে সেখানেই খুন জখম করিবে। এমনকি আরও বলে সে যেন চাকরীতে ফিরিয়া যাইতে না পারে। ২য় পক্ষের দ্বারা ১ম পক্ষের আশু গুরুতর শান্তি ভঙ্গের সম্ভাবনা রহিয়াছে। যে কোনো সময় খুন জখম হইতে পারে। সাক্ষীরা সকল ঘটনা জ্ঞাত আছে।


৪। ১ম পক্ষের ঘটনা প্রমাণের জন্য অনেক সাক্ষী আছে।
৫। বিস্তারিত জবানবন্দী ও সাক্ষ্য-প্রমাণে প্রকাশিত ও প্রমাণিত হইবে।
এমতে প্রার্থনা হুজুর আদালত, দয়া প্রকাশে ১ম পক্ষের অত্র আরজি গ্রহণ করতঃ ২য় পক্ষের বিরুদ্ধে ফৈঃ কাঃ বিঃ ১০৭ ধারা মতে প্রসেডিং স্থাপন করতঃ এবং একই আইনের ১১৭ (গ) ধারা মতে কঠোর মূচলেকায় আবদ্ধ করিতে মর্জি হয়।

ইতি
তাং ০০-০০-০০২২