না-দাবী নামা দলিল। না-দাবী-নামা দলিলের নমুনা।Law academy BD ।

Post No-71

বিসমিল্লাহির রাহ্‌মানির রাহিম

না দাবী নামা দলিল

এই অছিয়ত নামা আমার মৃত্যুর পর বলবৎ হইবে।

ক্রমিক নং …………………. বহি নং ………………….. দলিল নং  ………………

১। রেজিষ্ট্রী অফিসের নামঃ দাগনভূঁঞা ছাফ রেজিষ্ট্রী অফিস।

২। দলিলের সার সংক্ষেপঃ-

৩। দলিল গ্রহিতা বা গ্রহিতাগনের নাম ও ঠিকানাঃ

মোহাম্মদ দ্বিন ইসলাম, পিতা- মফিজুল হক খান, মাতা- ছেনোয়ারা বেগম, সাকিন-উত্তর মাছিমপুর, ডাকঘর- নরোত্তমপুর , থানা- দাগনভূঁইয়া, জিলা- ফেনী, জাতে- মুসলমান পেশা- কৃষি ।

নাদাবীনামা দলিল গ্রহীতা।

৪। দলিল দাতা বা দাতাগনের নাম ও ঠিকানাঃ

খলিজা বেগম, পিতা- আজমল হোসেন, মাতা- রাবেয়া খাতুন, গ্রাম- নরোত্তমপুর ডাকঘর- নরোত্তমপুর, থানা- দাগনভূঁইয়া, জিলা- ফেনী, জাতে- মুসলমান, পেশা- কৃষি।

নাদাবীনামা দলিল দাতা।

পরম করুনাময় মহান আল্লাহর নাম স্মরণ করিয়া অত্র নাদাবীনামা দলিল লিখিয়া দিতেছি। যে, নিম্ন তপশীলের বর্ণিত সম্পত্তি মরহুম আবদুল জব্বার খাঁন এর পুত্র আজমল খান ও মুসলিম খাঁন এর পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত রায়তী স্বত্ত্বীয় খাস দখলীয় সম্পত্তি ছিল। তৎ প্রমানে আর, এস, খতিয়ান তাহাদের নামে শুদ্ধরূপে চুড়ান্ত প্রচারিত হয় ও আছে। তত্ত্বতে উক্ত আজমল খান ও মুসলিম খাঁন তাহাদের পৈত্রিক ওয়ারিশসূত্রে প্রাপ্ত স্বত্বাধিকারে ভোগ দখলকার থাকাবস্থায় উল্লেখিত মুসলিম খাঁনের প্রাপ্ত অংশ বিগত ২৫/০৯/১৯৮২ ইং তারিখে রেজিষ্ট্রীকৃত ৩৫৪৭ নং কবলা মূলে তৎ ভ্রাতা আজমল খান খরিদ করেন এবং তপশীলে বর্ণিত আর, এন, ৪১৫৯ দাগের সম্পত্তি ও আরও অন্যান্য দাগের সম্পত্তি সহ আপোষ মিমাংসার জন্য অংশীদারগন বিগত ১৯৮৫ সনে ফেনী ১ম সাব জজ আদালতে ১৫নং অপর বিভাগ মোকদ্দমা দায়ের করেন। তৎপর উক্ত বিভাগ মোকদ্দমার রায়ের বিরুদ্ধে ১৯৯২ সনে মহামান্য হাইকোর্ট ১৫০/৯২ নং আপিল মোকৰ্দ্দমা হইলে পরবর্তীতে তাহাদের মধ্যে আপোষে বিগত ০৩/০২/১৯৯৬ ইং তারিখে উক্ত বিভাগ মোকদ্দমায় সোলেহ নামা দাখিল করিলে উক্ত সোলেহনামা ডিক্রীর একাংশ হিসাবে গন্য হয়। তৎপর উক্ত সোলেহ নামার সঙ্গে দাখিলকৃত স্কেচ ম্যাপে “বি” ব্লকে প্রদর্শিত উপরে উল্লেখিত আর.এস. দাগাদির জমি সহ নিম্ন তপশীলে বর্ণিত ৪১৫৯ নং দাগের আন্দর কতেক জমি সোলেহ সূত্রে চুড়ান্ত ডিক্রী মূলে উপরোক্ত আজমল খান এর অংশে চিহ্নিত দখল প্রাপ্ত হইয়া তাহার নামে বি, এস, ১৩২৫ নং খতিয়ান সৃজনে বি. এস. জরিপ চুড়ান্ত প্রচারিত করাইয়া খাসে ভোগ দখলে দখলকার থাকাবস্থায় চার পুত্র যথাক্রমে- মোহাম্মদ আজিম খান অর্থাৎ আমি ১নং দাতার স্বামী ও ২নং দাতার পিতা মোহাম্মদ মফিজুল হক খান, মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ খাঁন, মোহাম্মদ আরিফ খান ও এক কন্যা মোছাম্মৎ রোকেয়া বেগম কে বৈধ ওয়ারিশ রাখিয়া মৃত্যুবরণ করিলে তৎ যাবতীয় সম্পত্তি প্রত্যেক পুত্র  অংশে খাসে ভোগ দখলে স্থিত থাকাবস্থায় দ্বিতীয় স্ত্রী রেহেনা বেগম ও ছয় পুত্র যথাক্রমে- মোহাম্মদ আমান উল্লাহ খান, মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ খান, মোহাম্মদ ছলিম উল্লাহ খান, মোহাম্মদ করিম উল্লাহ খাঁন, মোহাম্মদ আশ্রফ উল্লাহ খাঁন, মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ খান এবং পাঁচ কন্যা যথাক্রমে ছাবেরা সুলতানা, কহিনুর সুলতানা, মনোয়ারা সুলতানা, নাহিদ সুলতানা এবং বিপাশা সুলতানা অর্থাৎ আমি দাতাকে ওয়ারিশ বিদ্যমান রাখিয়া মৃত্যুবরণ করিলে তৎ যাবতীয় সম্পত্তি আমি দাতা ও তৎ পুত্র ও কন্যাগন প্রাপ্ত হই ও হন এখানে উল্লেখ রহিল যে, উল্লেখিত আজমল খাঁনের প্রথম স্ত্রী মমতাজ বেগম তাহার জীবদ্দশায় মৃত্যুবরণ করেন। দাতার অপর শরিকানগনের সহিত আপোষে পরিচিহ্নিত মতে তপশীলে বর্ণিত কর খাজনা আদায় দিয়া এযাবৎ সর্বজনের জ্ঞাতসারে খাসে ভোগ দখলে স্থিত আছি। তপশীলে বর্নিত সম্পত্তি আপনি অত্র নাদাবীনামা দলিল গ্রহীতার সম্পত্তি ও আমি অত্র নাদাবীনামা দলিল দাত্রীর সম্পত্তি একই দাগের অর্ন্তভুক্ত হওয়ায় আপনি নাদাবীনামা দলিল গ্রহীতা উক্ত সম্পত্তিতে ভোগ দখলের ইচ্ছা প্রকাশ করিয়া আমি দাত্রীকে অবগত করাইলে আমি দাত্রী আমার নিকটতম আত্মীয় স্বজনের সহিত শলাপরামর্শ করিয়া এবং মানবিক চিন্তা করতঃ আপনি নাদাবীনামা দলিল গ্রহীতার সুবিধার্থে অদ্য হইতে নিম্ন বর্ণিত তপশীলের সম্পত্তি অত্র নাদাবীনামা দলিল মূলে আপনার বরাবরে দখল অর্পন করিলাম। আপনি অত্র নাদাবীনামা দলিল গ্রহীতা অদ্য হইতে আপনি এবং আপনার পরবর্তী অলি ওয়ারিশান ক্রমে ইচ্ছা মত ভোগ দখল করিতে পারিবেন। উক্ত সম্পত্তির জন্য আমি অত্র নাদবীনামা দলিল দাত্রী আর কোন প্রকার ওজর আপত্তি করিব না। এবং কোন কালে তপশীলে বর্ণিত সম্পত্তির জন্য দাবী সাপেক্ষে কোন প্রকার ওজর আপত্তি আমি অত্র নাদাবীনামা দলিল দাত্রী ও আমার পরবর্তী অলিওয়ারিশান কোন প্রকার দাবী দাওয়া বা ওজর আপত্তি করিব না বা করিবেনা বলিয়া এই মর্মে অঙ্গীকার ও ঘোষনার প্রতিশ্রুতি দিয়া তপশীলে বর্ণিত সম্পত্তির নাদাবীনামা দলিল দ্বারা অঙ্গীকারাবদ্ধ হইলাম ।

এই করারে স্বেচ্ছায় কাহারো বিনা প্ররোচনায় অত্র নাদাবীনামা দলিল আমি দাত্রী পড়িয়া ও পড়াইয়া ইহার মর্ম সম্যাক অবগত হইয়া নিম্নে স্বাক্ষরকারী সাক্ষীগনের স্বাক্ষাতে নিজ নাম স্বাক্ষর করিয়া উক্ত নাদাবীনামা দলিল সম্পাদন করিয়া দিলাম।

ইতি সন :-

তপশীল

মৌজা- উত্তর মাছিম পুর, থানা- দাগনভূঞা, জিলা- ফেনী, জে, এল, নং- ৭ মহাল মালিক বাংলাদেশ সরকার পক্ষে সহকারী কমিশনার (ভূমি), সদর, ফেনী অধীনে উল্লেখিত এবারতের বর্ণনামতে আমি অত্র নাদাবী নামা দলিল দাত্রীর প্রাপ্ত স্বত্বীয় আর, এস, জরিপের ৩২৩১ নং খতিয়ানের আর, এস, ৪১০৯ (চার হাজার একশত নয়) দাগের আন্দর তৎ সামিল, বি, এস, জরিপের ১২২৫ নং খতিয়ানের বি,এস, ২৫০০২   (পঁচিশ হাজার দুই) লাগের আন্দর মোয়াজী ২৪ শতাংশ জমি নাদাবীকৃত । নাদাবীকৃত সম্পত্তির চৌহদ্দী ঃ- উত্তরে-সরকারী রাস্তা, দক্ষিণে – দাগের বাকী অংশ, পূর্বে- দাগের বাকী অংশ এবং পশ্চিমে- আপনি গ্রহীতা এই বন্দে উক্ত সম্পত্তি নাদাবীকৃত ।

নাদাবীকৃত সম্পত্তির হাত নক্সা

মুসাবিদাকারক :-

স্বাক্ষীগণের স্বাক্ষর :-

8 thoughts on “না-দাবী নামা দলিল। না-দাবী-নামা দলিলের নমুনা।Law academy BD ।”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *